পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সপ্তাহজুড়ে ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ফলে মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে রাঙ্গামাটির লংগদু ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে নদীর পানি বেড়ে আটারকছড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাবাজারের আশপাশের এলাকাসহ মাইনি নদীর পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ইয়ারংছড়ি ও প্রধান সড়কের পাশের এলাকার নদী ও ছড়ার পাড়ে বসবাসকারী লোকজন। কিছু স্থান পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন। এতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১০টির বেশি গ্রাম। এছাড়া খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ইতোমধ্যে পানি উঠতে শুরু করেছে। অনেকগুলো ঘরবাড়িসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের জন্য যেন ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় কয়েকজন মাহিন্দ্র ও মোটরসাইকেল চালক জানিয়েছেন সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় লংগদুর সঙ্গে দীঘিনালা তথা খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
লংগদু ইউএনও কফিল উদ্দিন মাহমুদ জানান, অতিবৃষ্টির ফলে পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আমরা ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। বন্যা দুর্গতরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠার পর তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।
টিএইচ