নাটোরের গুরুদাসপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ মামলায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হলেও মামলার প্রধান আসামি প্রধান শিক্ষক ও তার দুই ভাইকে খুঁজছে পুলিশ।
রোববার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাজিরপুর এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য স্কুলছাত্রীকে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার প্রধান আাসামি ফিরোজ আহমেদ (৪৮) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। প্রথম স্ত্রী ও শ্বশুরকে মারধরের পর তাকে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এক ছাত্রীর মাকে ধর্মবোন ডাকেন ফিরোজ আহমেদ। ওই সুবাদে তাদের বাড়িতে নিয়মিত যোগাযোগ আর যাতায়াত ছিল তার। ওই ছাত্রী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। তাকে প্র্যাকটিক্যাল শেখানোর কথা বলে স্কুলে আসতে বলে। পরে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে উধাও হন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলছাত্রীর বাবা-চাচারা তাকে আনতে রাজশাহীতে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক এক বাড়ির ৫ম তলায় বাসা ভাড়া নিয়েছেন। মেয়েকে আনতে গেলে তাদের মারধর করে প্রধান শিক্ষক। পরে সেখান থেকেও স্কুলছাত্রীকে নিয়ে উধাও হন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে ওই প্রধান শিক্ষক ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায়, অপহরণ মামলা করেন।
কেএস