সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে মনপুরা

মনপুরা (ভোলা) প্রিতিনিধি

অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে মনপুরা

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে মনপুরায় ঠেকানো যাচ্ছে না মেঘনা নদীর ভাঙন। ড্রেজার দিয়ে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙতে শুরু করেছে নতুন নতুন এলাকা এবং ধ্বসে যাওয়ার সম্ভাবনা সিসি ব্লক। 

নদী ভাঙন ঠেকাতে মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নির্মাণ হচ্ছে একের পর এক স্থায়ী বাঁধ। কয়েকবছর ধরে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যয় হয়েছে শত কোটি টাকা। সিসি ব্লকের জন্য ১৯২ কোটি টাকার প্রকল্প ইতিমধ্যে রামনেওয়াজ এলাকায় বাস্তবায়ন হয়েছে। ভবিষ্যতেও রয়েছে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা।
 
মনপুরার চারপাশে সিসি ব্লকের জন্য যুবও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভোলা ৪ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব নদী ভাঙন প্রতিরোধে মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেকের সভায় পাস করেন প্রায় ১১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরেও সুফল পাচ্ছে না নদীর তীরবর্তী মানুষ। 
বালু উত্তোলনের কারণে মনপুরার বিভিন্ন বাঁধের অনেক অংশে দেখা দিচ্ছে ধ্বস, ভাঙতে শুরু করেছে নতুন নতুন এলাকা এবং তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সিসি ব্লক।

স্থানীয়দের অভিযোগ মনপুরার তীরবর্তী মেঘনা নদীতে কোনো বালু মহল না থাকলেও ৮টি ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন ৯৬ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। 

বালু উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয়দের পক্ষে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে স্রোতের গতি বাড়তে থাকবে। যার ফলে  দ্রুত বেড়িবাঁধ ও নদী ভাঙনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নায়ন বোর্ড, চরফ্যাশন (পওর) ভোলা-২ প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী, হাসান মাহমুদ আমার সংবাদকে জানান, আমরা মনপুরা অফিস থেকে লোকজন পাঠিয়েছি বালু উত্তোলনের জায়গাগুলো দেখার জন্য।

দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আল নোমান আমার সংবাদকে জানান, আমরা এর বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

টিএইচ