মাদক ব্যবসার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধে খুন হয়েছে অভয়নগর উপজেলার হাবিবুর রহমান (২৪)। তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলায় চাকু ঠেকিয়ে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় আঘাত করে পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের করে বস্তার সঙ্গে ইট বেঁধে ভৈরব নদে ফেলে দেয়া হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের হাতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে ডিবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত একটি জিআই পাইপ ও দুটি স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে। পুলিশ ভৈরবে নেমে তল্লাশি করে ওই অস্ত্র ও নিহতের মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করে।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে উপজেলার ভৈরব নদের জয়েন্ট ট্রেডিংয়ের বালুর মাঠ অংশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার তালতলা গ্রামের মধ্যমপুর এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে।
আটকরা হলেন, একই এলাকার নূর ইসলামে ছেলে মেহেদী হাসান, বিভাগদী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে হুমায়ুন শেখ, মৃত আজাহার শেখ ওরফে আজার ছেলে ফয়সাল শেখ এবং খন্দকার আনিছুর রহমানের ছেলে খন্দকার আল আমিন।
পুলিশ জানিয়েছে, একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ইয়াছিনের সঙ্গে হাবিবুরের বন্ধুত্ব ছিলো। মাদক বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা এবং একচ্ছত্র মাদক ব্যবসা নিয়ে হাবিবুরের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে ইয়াছিন তার অন্য সঙ্গিদের নিয়ে হাবিবুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে আরেক মাদক বিক্রেতা হাসানের মাধ্যম দিয়ে হাবিবুরকে বালুর মাঠে ডেকে নেয় হত্যাকারীরা। এরপর রাত ৮টার দিকে সেখানে নিয়ে তাকে স্ট্যাম্প ও জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। হাত-পা বেঁধে হাবিবুরের পেট কেটে নাড়িভুড়ি বের করে এবং বালির বস্তার মধ্যে ভরে ইটে বেঁধে ভৈরবে ফেলে দেয়।
টিএইচ