ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৭নং মুসুল্লি ইউনিয়নের “বাহাদুরপুর কেয়াঘাট বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ” এর নির্মাণ কাজ অর্থ সংকটের কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মুসুল্লিদ্দের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়েও ব্যাঘাত ঘটছে।
সরজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, মুশুল্লি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কালিগঞ্জ সেতুর দক্ষিন পাড়ে অবস্থিত ‘বাহাদুরপুর কেয়াঘাট বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ”। বাহাদুরপুর গ্রামের মো. মকবুল হোসেন কেলু ৪ বৎসর পূর্বে উক্ত মসজিদটি স্থাপনের জন্য ৪ শতাংশ জায়গা মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। প্রথমত টিনশেডের ঘরে মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ও কেয়াঘাট পারাপারে আগত মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় এক লাখ টাকায় মসজিদটির পাকা ভবনের কাজ শুরু করা হয়।
বর্তমানে ৩৪ ফুট স্কয়ারের মসজিদটিতে ১১টি আরসিসি পিলার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে সেই পিলারের কাজও শেষ হয়নি, ফলে মসজিদের দেওয়াল নির্মাণেরও প্রশ্ন আসে না। এর ভিতরে টিনশেডের নিচে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকলেও একটু বৃষ্টি হলেই মসজিদের ভিতর এক ফুট পরিমাণ পানি জমে থাকে।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত মসজিদটির নির্মাণ কাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা ছাড়া বড় ধরনের কোন সরকারি-বেসরকারি দান অনুদান মিলেনি। তাই মসজিদটির নির্মাণ কাজ বর্তমান বন্ধ রয়েছে। মসজিদটির প্রথম তলার কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সহ বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় মুসুল্লিবৃন্দ।
মসজিদ নির্মাণ কমিটির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবক মাসুদ রানা রানা জানান, বর্তমানে মসজিদের তহবিলে প্রায় ৭০ হাজার টাকা আছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আল্লাহর ঘর মসজিদে যদি কোন দানশীল ব্যক্তি বা সরকারিভাবে বড় ধরনের কোন দান-অনুদান পাওয়া যায় তাহলে বাকী কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
বাহাদুরপুর কেয়াঘাট বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর রাস্তায় দান করলে মানুষের সম্পদ কমেনা বরং তা আল্লাহ পাক বহুগুনে বাড়িয়ে দেন এবং দানশীল ব্যক্তির পক্ষে বহুগুনে সওয়াব বৃদ্ধি করে দেন। আমিন। এমন একটি মসজিদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরনে দান করার জন্য ধর্মপ্রাণ মুসুলমানদের প্রতি জোর আহব্বান জানাচ্ছি।
মুসুল্লি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেকার উদ্দিন ভূইয়া বিপ্লব জানান, আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব ততটুকু দান পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর উক্ত মসজিদটির জন্য সরকারি দান-অনুদানের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
কেএস