ভারত থেকে লাগেজে করে আনা বিপুল পণ্য রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া কাস্টমসের একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ দুই সিপাহির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামিকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
এ সময় চোরাকারবারিদের হামলায় কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল পারভেজ, সিপাহি জুম্মান ও ইমন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতেই আখাউড়া থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে অভিযোগ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এজহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন— কবির হোসেন (৩৫), আওলাদ হোসেন (৩০), মো. হূদয় (২৮), ঠাণ্ডু (২৮)।
আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে একদল লাগেজ চোরাকারবারি আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে দেশে আসে। এ সময় লাগেজ পার্টির সদস্যরা মিলে কাস্টমস স্ক্যানিং মেশিনে ব্যাগ না নিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পণ্য বোঝাই ব্যাগ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
খবর পেয়ে আখাউড়া কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল পারভেজ তার দুই সিপাহি নিয়ে মোটরসাইকেলে তাদের পিছু ধাওয়া করে বন্দর এলাকার বঙ্গেরচর নামক স্থানে আটক করেন। এ সময় কাস্টমস স্ক্যানিং না করে ব্যাগগুলো নিয়ে আসায় কাস্টমস কর্মকর্তা চ্যালেঞ্জ করলে লাগেজ চোরাকারবারিরা কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা এবং সিপাহিদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য বোঝাই লাগেজ ছিনিয়ে নিয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।
আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়্যুম জানান, বন্দর এলাকার বাসিন্দা কবীর, আওলাদ, ঠাণ্ডু ও হূদয় ওরা লাগেজ পার্টির চিহ্নিত সদস্য। ভারতীয় একাধিক পাসপোর্টধারী লাগেজ চোরাকারবারি প্রতিদিন ওদের সহযোগিতায় বিপুল ভারতীয় পণ্য এনে সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সক্রিয় সদস্য এর লাগেজ ব্যবসার সাথে জড়িত।
আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এজহারনামীয় একজনকে আটক করা হয়েছে বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
টিএইচ