চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সাপমারা খালে একটি সেতুর অভাবে ছয় গ্রামের বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও সেতু না হওয়ায় এসব এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোতে চলাচল করছে।
স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সাপমারা খালে সেতু না থাকায় জেলা-উপজেলা সদরে যাতায়াতসহ মালামাল আনা-নেয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
অন্যদিকে রায়পুরের অধিকাংশ মানুষ সাগরে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বাঁশের সাঁকোয় আহরিত এসব মাছ বহনে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটির কয়েক জায়গায় বাঁশ পচে গেছে। এতে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। মানুষ চলাচলের সময় সাঁকো নড়তে দেখা যায়। স্থানীয়রা জানান, সাপমারা খালের সরেঙ্গা এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে সেতু বিভাগ একাধিকবার জরিপ কাজ চালায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা থমকে যায়। সেতুটি নির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জনমানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
সরেঙ্গা গ্রামের স্কুলপড়য়া তানিয়া জানায়, ভাঙাচোরা সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া সীমাহীন কষ্ট। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোতে পা পিছলে যাওয়ার ভয় বেশি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। যার প্রভাব শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পড়ছে।
টিএইচ