চুয়াডাঙ্গায় মাঘ মাসের শেষ পর্যায়ে এসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার জনপদ। গত কয়েকদিন ধরে শীত অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু মাঘের একেবারে শেষ দিকে এসে গত দুদিন মধ্যরাত সকাল অবধি তীব্র শীতে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। কুয়াশা না থাকলেও হিমেল বাতাসে যেন শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জেলার ছিন্নমূল ও শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া দিনমজুররা। শুধু দিনমজুররাই নয় উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও এ অসময়ের শীতে অসুস্থ হচ্ছেন। দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাইলেও সন্ধ্যা রাতে থাকছে গরম আবহাওয়া কিন্তু মধ্যরাত থেকে সকাল অবদি শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থ হচ্ছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
গত দুদিনে সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তাঘাটেও লোকজনের আনাগোনা সীমিত হয়ে পড়েছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই ঝুঁকি নিয়ে কাজে বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ। গতক কয়েকদিন থেকে জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যা ২-৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শহরের হকপাড়ার বাসিন্দা ভ্যানচালক রাজন বলেন, কয়েকদিন ঠান্ডা কম পড়ছিল। হঠাৎ দুদিন রাত থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। হাত-পায়ে কাঁপুনি ধরে গেছে। দিনে রোদের তাপে শীত অনুভূত না হলেও বিকেল থেকে তীব্রতা বাড়ছে শীতের। অসময়ের শীতের কারণে জেলার শিশু ও বিদ্যুতের মধ্যে বেড়েছে ঠান্ডাজড়িত রোগ। হাসপাতালগুলোতেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
টিএইচ