দখলবাজি, চাঁদাবাজি এসব বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ তুমি স্বাক্ষী থাকো আমরা তোমার কোরানের ভিত্তিতে একটা ইনসাফের মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে মানুষ সবাইকে সম্মান করবে ভালোবাসবে সেই বাংলাদেশ আমাদের দান করো।
তিনি বলেন, হে তরুণ যুবকেরা তোমরা জেগে উঠো, যে সমাজে তরুণরা জেগে উঠে সে সমাজকে আল্লাহ বদলায় দেন। ২৪ এর ৫ আগস্ট যুবকেরা, তোমাদেরকে স্যালুট। তোমাদের জীবনবাজি রেখে লড়াইয়ের কারণে আল্লাহ আমাদের আপাতত মুক্ত করেছেন। এবার চিরমুক্তির জন্য জেগে উঠো, এবার শপথ নাও আমরা বাংলাদেশকে কোরানের আলোকে গড়বই গড়বো, ইনশাআল্লাহ। চুল পাকা, দাঁড়ি পাকা জীবন্ত এক যুবক আমিও তোমাদের সাথে সামনের কাতারে থাকবো।
আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গণ জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শ্মশান বাংলা কায়েম করা হয়েছে। কোরানেই একমাত্র সোনার বাংলার গ্যারান্টি দিতে পারে আর কিছুই দিতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, এদেশে যতগুলো ইসলামী দল আছে সবগুলোর দিকে আপনারা চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখুন, ৫ আগস্ট থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ সামান্য পরিক্রমায় কোথাও আপনি দেখবেন না ইসলামী দলের কোন লোক এখন পর্যন্ত জাতির উপর কোন জুলুম করছে, চাঁদাবাজি করছে, দখলবাজি করছে।
জেলা জামায়াতের আমীর মাষ্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুরনবীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহজাহান চৌধুরী, ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, এ্যাড. আতিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর পরে লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৯৬ইং সালে লক্ষ্মীপুরে এরকম খোলা ময়দানে জামায়াতের সমাবেশ হয়েছিল। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নানান দমন নিপীড়নের কারণে প্রকাশ্য কোন সভা-সমাবেশ করতে পারেনি লক্ষ্মীপুরের জামায়াত।
টিএইচ