সাভারের আশুলিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। আটকদের গত বছরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুৎ এলাকার ফুড প্লানেট রেস্টুুরেন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা সবাই আশুলিয়ার পল্লিবিদ্যুত ও ডেন্ডাবরসহ এর আশেপাশের এলাকায় ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠকের সময় বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আটকদের যাচাই-বাছাই শেষে জানা যায় তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। পরে ২০২৩ সালের ১ আগস্টের একটি নাশকতা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সেই মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ইয়াসিন সুপার মার্কেটের সামনে জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা শফিকুর রহমানের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে যানচলাচলে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছিল।
এসময় তারা বিভিন্ন গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তাদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য মাজহারুল ও সাইদুর আহত হন। এসময় ঘটনাস্থলে আরও পুলিশ উপস্থিত হলে তারা একটি ককটেল বিস্ফোরণ কর পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই মামলায় আটক ২২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আশুলিয়া থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাশ বলেন, আটকদের পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরআগে আটকদের যাচাইবাছাই শেষে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা ওই রেস্টুরেন্টে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো।
টিএইচ