সাভার ও আশুলিয়ায় চলমান মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে ভাঙচুর, মারধর ও কারখানার মালামাল লুটসহ নানা অভিযোগে আশুলিয়া থানায় পৃথক ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১টি মামলায় ১৬ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য ১১টি মামলায় সব আসামি অজ্ঞাত।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৩০ কারখানার মধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে ৭১টি কারখানা। রোববার (১২ নভেম্বর) এ বিষয় জানিয়েছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
পুলিশ সুপার জানান, চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ পৃথক ১২টা মামলা করেছে। এর মধ্যে ১টি মামলায় শুধু ১৬ শ্রমিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য ১১টি মামলার আসামি অজ্ঞাত। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা সকলেই শ্রমিক। এদিকে চলমান শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা ১৩০টি কারখানার মধ্যে কাজে ফিরেছে ৭১ টি কারখানার শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে অন্য ৫৯ কারখানা।
পুলিশ সুপার আরো জানান, ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরমধ্যে অনেক কারখানা গত শনিবার থেকেই খুলে দেয়া হয়েছে। শ্রমিকরা সেসব কারখানায় কাজ করছেন। এছাড়া আজও বেশ কিছু কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। ১৩০টির মধ্যে ৫৯ ব্যতীত বাকি কারখানাগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে আশুলিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অন্য দিনের মতো রোববারও (১২ নভেম্বর) আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
টিএইচ