নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কাপড় ব্যবসায়ী মালিক এবং ম্যানেজার মিলে মহিলা ক্রেতাকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে রোববার (১৪ মে) মামলাটি করেন। ধর্ষিতার (২৮) বাড়ি নরসিংদীর পলাশ থানার বালু চরপাড়া এলাকায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতার স্বামী ১০ বছর ধরে বিদেশে থাকে এবং ধর্ষিতার মা এলাকায় খুচরা কাপড় বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে। গত প্রায় ২ মাস আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে যাওয়ার সময় আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের দেয়াবৈ গ্রামের জনৈক মানিকের (৪০) সাথে তার বাসে বসে পরিচয়, মোবাইল নাম্বার বিনিময় এবং মাঝেমধ্যে ফোনে কথাবার্তা হয়।
ওই সময় মানিক নিজেকে মাধবদী বাজারের একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। সেই সূত্রে এরপর থেকে ধর্ষিতার মা মানিকের কাছ থেকে কাপড় কিনে নিয়ে এলাকায় বিক্রি করত। ইতোমধ্যে ধর্ষিতার স্বামী বিদেশে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্সিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
ফলে মায়ের সাথে সেও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে। গত ১০ মে দুপুরে ধর্ষিতা পাইকারি কাপড় কিনার জন্য মানিকের দোকানে আসতে মোবাইলে যোগাযোগ করে। মানিকের কথামত ধর্ষিতা মাধবদী বাজারে মানিকের সৌদিয়া বোরকা অ্যান্ড হিজাব নামের দোকানে আসবে বলে জানায়।
কিন্তু ওইদিন দোকান বন্ধ আছে বলে মানিক তার বাড়ির গোডাউন থেকে মাল দেবে বলে তার ম্যানেজারকে দিয়ে রাস্তা থেকে ধর্ষিতাকে দেয়াবৈ গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে মানিক তাকে ঘরে জিম্মি করে বলপূর্বক ধর্ষণ করে ঘরে ফেলে রেখে বের হয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষিতাকে রিসিভ করে আনা (অজ্ঞাতনামা) মানিকের ম্যানেজার ও ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ধর্ষিতাকে হুমকী দেয়, একটু আগে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের দৃশ্য তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা আছে। ম্যানেজার ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষিতাকে ম্যানেজার ও বলপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষক মানিকের পিতার নাম সিরাজ ড্রাইভার বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক তৈয়ব মামলা গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
টিএইচ