ইউপি সদস্যের নিকট মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির ভিডিও রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পর থানার এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছে কতৃপক্ষ। পুলিশের চাঁদা দাবির এই চঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকায়।
বরখাস্ত হওয়া এসআই হারুনুর রশিদ মুরাদনগর থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৩০শে মার্চ কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম (বার) এই এসআইকে তাৎক্ষনিক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তের আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, মুরাদনগর থানায় কর্মরত এসআই হারুনুর রশিদ তার ব্যক্তিগত মোবাইলফোন থেকে নবীপুর পশ্চিম ইউপি মেম্বার আশ্রাফুল ইসলামের নিকট হোয়াটসআ্যাাপ কলের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ইউপি সদস্য আশ্রাফুল ইসলাম ২ লাখ টাকা এই মূহুর্তে হাতে নেই, এবং কি সমস্য জানতে চান, এসআই হারুন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না সব স্যারে জানে, তারপর মেম্বার কয়েকদিনের সময় চাইলে এসআই সরি বলে ফোন কেটে দেয়। এরপর সেদিন রাতেই ইউপি সদস্য আশ্রাফুল ইসলামকে তার শ্বশুড় বাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইউপি সদস্যের নিকট চাঁদাদাবির বিষয়টি জানাজানি হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে এসআই হরুনুর রশিদের চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্যাতা পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এই এসআই হারুনকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।
মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, এসআই হারুনুর রশিদের চাঁদা দাবির বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। সে আমার নাম ব্যবহার করে এমনটা করেছে।
টিএইচ