পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একটি শালিশ বৈঠকে হামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া গ্রামে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদারের মধ্যস্থতায় একটি শালিশ বৈঠক চলছিল।
ঘটনাস্থানে গেলে জানা যায়, শালিশ বৈঠকে পিরোজপুর থেকে এক পক্ষের হয়ে আসা কয়েকজন ব্যক্তি আসেন। তারা শালিশ বৈঠকে ভুল বুঝাবুঝি হলে একপর্যায়ে হামলা করে। হামলায় প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. আ. রাজ্জাক আহত ও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাদের আটকে রাখে। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আসলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় রাতে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে পুলিশ রিয়াজ শিকদার, আরিফুল ইসলাম বাবু, শাকিল আহম্মেদ, মারুফ হোসেন, আরিফুর রহমান মিঠু, সাব্বির হোসেন, অন্তর, নাজমুল, এজাজুল, সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটকদের মধ্যে ০৫ জন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত ব্যবসায়ী মিজানকে প্রথমে খুলনা হাসপাতালে নেয়া হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, আমরা ঘটনার স্থান থেকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুবদল নেতাসহ ৫ জনকে থানায় আনা হয়েছে, বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
টিএইচ