ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় এক ফুট পরিমাণ কাদা জমে থাকে। মাঠের পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে মাঠ কাদাযুক্ত হয়ে পড়ে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অ্যাসেম্বলী, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন কজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে বের হতে গেলে কাদায় মাখামাখি হতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পৌঁছার সময় বা ছুটির সময়ে যাবার পথে কাদাযুক্ত মাঠের মধ্যে পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে ইউনিফর্ম ও বইপুস্তক নষ্ট করে ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে এমনিভাবেই চলছে নান্দাইল উপজেলার ২৪নং আলআজহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
১৯৪২ সালে বিদ্যালয়টি উপজেলা পরিষদের পিছনে প্রথম শ্রেণির পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি উপজেলার অন্যতম প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। যেখানে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষাগ্রহণ করছে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তুু মাঠের চেয়ে ড্রেনের উচ্চতা এক ফুট বেশি হওয়ায় বৃষ্টির পানি ওই ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে মাঠের মধ্যেই বৃষ্টি জমে মাঠ কাদাযুক্ত হয়ে পড়ছে। বর্ষকালে এলেই এরকম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের কিশোর-কিশোররা। যেখানে কাদার জন্য বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলারও সুযোগ নেই।
বিদ্যালয়টিতে দুটি ভবন রয়েছে। তন্মধ্যে একটি পুরাতন পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। ছাত্র সংখ্যা বেশি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে সেখানে আরেকটি নতুন ভবন স্থাপনের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জোরদাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবলী দাস বলেন, “বর্ষার সময়ে বিদ্যালয়ের বারান্দায় অতিকষ্ট করে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অ্যাসেম্বলী ও মা অভিভাবক সমাবেশ করতে হচ্ছে। এছাড়া অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মান উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে।
পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে সবসময় প্রথম স্থান অর্জন করে চলছে। ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বেশী হওয়ায় আরেকটি বিদ্যালয় ভবনের প্রয়োজনীতা বোধ করছি। এছাড়া মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।” নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. ফজিলাতুন নেছা বলেন, বিভিন্ন স্কুলের মাঠে মাটি ভরাটের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ওই বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাটের জন্য পৌরসভা থেকে একটি প্রকল্প দেয়ার কথা। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
টিএইচ