রংপুর বিভাগে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬০ জন। সোমবার (২৪ জুলাই) রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ৫, নীলফামারীতে ৯, দিনাজপুরে ২৩, গাইবান্ধায় ৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ এবং রংপুরে ১০ জনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত) বিভাগে আরও ৪৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ৩১ জন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ২৮, নীলফামারীতে ১৯, লালমনিরহাটে ৭, কুড়িগ্রামে ৬, গাইবান্ধায় ১১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ এবং পঞ্চগড় জেলায় একজনসহ পুরো বিভাগে মোট ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রংপুর জেলায় ৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ জনান, হঠাৎ করেই ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রংপুরে একজন মারা গেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে ঈদের সময় গ্রামে ফিরেছিলেন।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে একজন মারা গেছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাধারণ রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের ইউনিট এবং বেডের সমস্যা রয়েছে।
মশক নিধনের বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু জানান, আমরা মহানগরকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছি। এছাড়া মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছি। অনেককেই সতর্ক করে নোটিশও দেয়া হচ্ছে। এরপরও যারা সতর্ক হবে না তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
টিএইচ