মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিরাজ করছে উত্তেজনা।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিকালে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে এখনও উত্তেজনা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থানে থেকে চলাফেরা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
নতুন করে বিজিপির কেউ আশ্রয় চাইলে কী করবে বিজিবি, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ বলেন, পুরো বিষয়টি বিজিবি সদর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখভাল করছে। বলেন, যারা এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের ফেরাতেও কাজ করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এদিকে সংঘর্ষ শুরু হবার পর নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাদশা মিয়া নামে এক বাসিন্দার ঘরে একটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হন। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম।
এদিকে, সীমান্ত এলাকায় চলমান অস্থিরতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টিএইচ