শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

এনায়েতপুরে বাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

এনায়েতপুরে বাদামের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা আওতাধীন যমুনা নদীর চরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে বাদামের ফলন ভাল হয়েছে। বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ার চাষীরা বাদামচাষের দিকে ঝুঁকছে। আর অন্য ফসলের চাইতে বাদাম চাষ করতে খরচও কম লাগে। 

অল্প কিছু কীটনাশক ও অল্প পরিসরে চাষ দিলেই বাদাম চাষ করা সম্ভব। বাদাম চাষ করতে বাড়তি সেঁচ ও নিরানি কোন প্রয়োজন হয় না। অন্য ফসলের মতো যত্ন না করেও ভাল ফলন আশা করা যায়। ফলে কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছে। 

যমুনা চরের মাটি বেলে দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্য্যেরে আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চীনাবাদাম ও দেশীও জাতের বাদামের ফলন ভাল হয়। প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫০০ কৃষকের মধ্যে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করে চৌহালী কৃষি অফিস। 

প্রতি বছরই উপজেলার সোদিয়া চাঁদপুর, স্থল, খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়াও ৪টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কিছু জমিতেও বাদাম চাষ করা হয়েছে। তাই দিন দিন যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ক্রমেই ঝুঁকছে চাষিরা।

সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাষী আবুল কাসেম জানান, আমি ১ বিঘার মত জমিতে বাদাম চাষ করেছি, ফলনও ভাল হয়েছে, বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৩ মণ করে বাদাম পাচ্ছি এবং অন্য ফসলের চাইতে বাদাম চাষে শুধুই লাভ আর লাভ, খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছরই বাদাম চাষ করে আসছি এবং লাভবানও হচ্ছি। ব্যবসায়ী ও বাজার যাচাই করে জানা যায় এ বছর বাদাম ৩ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার ৮শ টাকা মণ ধরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি এবং বাজারে চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছে চাষী ও ব্যবসায়ীরা। 

ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষিরা একে অপরের দেখাদেখিতে লাভজনক বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে। 

চৌহালী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৩ মণ বাদাম উৎপাদিত হয়েছে। চরাঞ্চলে বেলে দো-আঁশ মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। 

অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতা পাওয়ায় আগামীতে আরও বেশী জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষীরা। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুর রহমান বলেন, অত্র চরাঞ্চলের মাটি তথা আবহাওয়া ও চিনা বাদাম চাষের জন্য উপযোগী, এজন্য এ বছর হেক্টর প্রতি ১.৮১ মেট্টিকটন বাদাম চাষ হয়েছে। 

কৃষকেরা দিন দিন চিনা বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে, আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতি বছর কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা করব।

টিএইচ