বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
ঢাকা বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Post

কক্সবাজার সৈকতে বিপন্ন প্রজাতির ২৫০ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

কামরুল হাসান মিনার, কক্সবাজার

কক্সবাজার সৈকতে বিপন্ন প্রজাতির ২৫০ কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ২৫০টি অলিভ রিডলি প্রজাতির কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে। কক্সবাজার বনবিভাগ ও নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত নার্সারিতে জন্ম নেয়া এসব কাছিমের বাচ্চা বুধবার (৯ এপ্রিল) ইনানী সৈকতে অবমুক্ত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম।

কাছিমের বাচ্চা অবমুক্তকালে তিনি বলেন, ‘অলিভ রিডলি টারটল বা জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিমের বৃহৎ আবাস বঙ্গোপসাগর। সাগরের অনন্য জীববৈচিত্র্যের এই মূল্যবান অনবদ্য অনুষঙ্গটি সাগরের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবছর শীতের মৌসুমে এরা উপকূলবর্তী বালুকাময় সৈকতে আগমন করে ডিম পাড়া ও বাচ্চা ফোটানোর জন্য। কিন্তু ডিম পাড়ার জন্য কাছিম সৈকতে আগমন করলে সেখানে বিচরণকারী কুকুরের আক্রমণে ও অন্য নানা কারণে কাছিম ও কাছিমের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মা কাছিম মারা যায়।

কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত কার্যক্রমের আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কক্সবাজারে ১২টি পয়েন্টে থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৬ হাজার কাছিমের ছানা অবমুক্ত করা হয়েছে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিম ডিম দিতে আসে। কক্সবাজার বনবিভাগ ও ন্যাকমের যৌথ ব্যবস্থাপনায় এসব ডিম দিতে আসা কাছিমের নিরাপত্তা ও বাচ্চা ফোটানোর নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২টির অধিক পয়েন্টে ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য নার্সারি স্থাপন করা হয়।

এসব নার্সারিতে প্রায় ২৬ হাজার ৭৭০টি ডিম সংগ্রহ করে তা ফোটানোর জন্য বিশেষ ধরনের পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। নেকমের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত ৬০০০ এর অধিক বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছে।

সমপ্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। অর্থাৎ হুমকির মুখে রয়েছে সামুদ্রিক কাছিমের ডিমপাড়ার স্থানসমূহ।

টিএইচ