বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ: দস্যু আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে ট্রলারে ১০ মরদেহ: দস্যু আটক

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকায় ট্রলারে চাঞ্চল্যকর ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দস্যু খাইরুল বশর সুমন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক খাইরুল বশর সুমন (৩০) মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে খাইরুল বশর সুমন প্রথম দফায় স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে সক্রিয় জলদস্যূদের একজন। 

গত বুধবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কক্সবাজার সদর সার্কেলর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস, এসআই ইব্রাহিম ও সঙ্গীয় ফোর্স চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রেলগেট এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, সুমনকে আটকের পর কক্সবাজারে নিয়ে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৩ এপ্রিল ১০ মরদেহ উদ্ধারের পর পরেই দস্যু সুমন আত্মগোপনে চলে যান। তারপর পরিচয় গোপন করতে মুখে দাঁড়ি রেখে ছদ্মবেশ ধারণ করেন সুমন মিয়া।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আটক খাইরুল বশর সুমন মিয়াকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল শহরের নাজিরারটেক এলাকায় গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলারের হিমঘর থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল ট্রলারটির মালিক নিহত সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির স্ত্রী রোকেয়া বেগম চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। এঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, আটক সুমনকে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, আশা করছি রিমান্ডে এনে নিবিড় জিজ্ঞেসাবাদ করলে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল রহস্য বের হবে।

টিএইচ