সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫
ঢাকা সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
The Daily Post

কচুরিপানা পরিষ্কারে প্রাণ ফিরল গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

কচুরিপানা পরিষ্কারে প্রাণ ফিরল গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি খাল ছিল কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছিল গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কারণ ঐ খালপাড়ের আশপাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ।

প্রায় ৪ বছর পর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি। শুরু হয়েছে খালের পানি প্রবাহ। গত শনিবার থেকে রোববার (২ মার্চ) পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধে ছিল দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে খালটি। পানি কালো হওয়ায় গোসল করা দূরের কথা আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও খালটি থেকে অজু করতে পারত না।

এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মহিলারা থালাবাসন ধোয়ার কাজ করতে পারত না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক মুসল্লিদের মাধ্যমে দুর্ভোগের কথা জানতে পরে প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন।

গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সি লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খাল ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নামাজ পড়তে কষ্ট হতো। তাই আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি তখন প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। দুই দিনে খাল পরিষ্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট কমবে।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারত না। কারণ কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন পরিষ্কার হওয়ার খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছেন।

টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মো. মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসনের এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।

টিএইচ