সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

কলাপাড়ায় ধানের ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 

কলাপাড়ায় ধানের ফলন ভালো হলেও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলতি বছর মোট ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। যা থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৪০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না হওয়ায় এবারের ফলন ভালো হয়েছে। তবে, সার, কীটনাশক ও বীজের দাম তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে বলে দাবি কৃষকদের।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, পাঁকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুঁটে উঠেছে তাদের মুখে। তবে, ধানের দাম আশানুরুপ নয় বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন একাধিক কৃষক।

মন প্রতি খরচ আর প্রাপ্তমূল্যে লোকসানের হিসাব কষছেন তারা। এদিকে, ন্যায্যমূল্যে সারসহ সরকারি অন্যান্য সহায়তা প্রকৃত কৃষকদের কাছে পৌঁছায়নি বলেও দাবি করছেন অনেকে।

জানা যায়, প্রতিকড়া জমিতে প্রায় এক মনের মতো ধান হয়েছে। যা হিসেব কষলে কানি জমিতে ৭৫ থেকে ৮০ মনের মতো হয়। এদিকে, এক কানি জমিতে ধান উৎপাদন করতে কৃষকদের প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা খরচ হয়। যা ধানের বর্তমান মূল্যে লোকসান হবে বলে তারা জানান।

উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের কৃষক খোকন খাঁন বলেন, চলতি বছর ধানের ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। তবে, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান ধানের মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য করলে খরচের পাল্লা বেশি হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রকৃত কৃষক হলেও সরকারি কোন সহায়তা পাইনা। বিনামূল্যে সার ও বীজ পেলে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারতেন।

আরেক কৃষক মুসা গাজী বলেন, কৃষিকাজ করে এখন লোকসান দিতে হয়। আগামীতে চাষাবাদ কমিয়ে দিবেন বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম সাইফুল্লাহ বলেন, এ মৌসুমে উপজেলার ৭ থেকে ৮ হাজার প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। ধানের এবারের ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, সরকার নির্ধারিত ধানের মূল্যে কিছুটা হলেও কৃষকরা উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।

টিএইচ