কাউখালী-নিলতী-বেকুটিয়া-পিরোজপুর ৭ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত সড়কটি ঘূর্ণিঝড় রেমেলের পরে আস্তে আস্তে সড়কের পাশের খালে ভেঙে নেমে গেছে এবং পানির স্রোতে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে রাস্তা দিয়ে এখন গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের বটতলা থেকে উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহনসহ উপজেলার ১০/১২টি গ্রামের হাজার হাজার লোক উপজেলা এবং জেলায় যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়ে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ, দুটি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
সমপ্রতি বয়ে যাওয়া রেমেলে রাস্তাটি পানিতে ডুবে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেঙে খালের সঙ্গে মিশে গেছে। মাঝে মধ্যে অটোরিকশা খালে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এলজিইডির এ রাস্তাটি কাউখালী-পিরোজপুর এর সংক্ষিপ্ত সড়কের (বটতলা থেকে উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত) প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন চলাচল করছে।
উত্তর নিলতী সমতট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহানারা বেগম জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র নবাব জানায়, এই রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে স্কুলে যেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।
বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে এতে করে অনেক সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারছে না। অটোচালক ফারুক হোসেন জানান, রাস্তাটির অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে এই সংক্ষিপ্ত রাস্তাটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে অনেকাংশ ভেঙে খালের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পথে এবং রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি আমি উপজেলার সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করবো।
উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন রাসেল জানান, আমি সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি, রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
টিএইচ