গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে খিরাটি এলাকায় মিছিলে হামলা, গুলি বর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে কাপাসিয়ার সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমিসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিযা থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে হামলায় আহত সাগরের পিতা সাজিদুল ইসলাম। মামলায় সিমিন হোসেন রিমিকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী সাজিদুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট আমিসহ ছাত্র আন্দোলনের ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি স্কুল মাঠ হতে বৈষম্যবিরোধী মিছিল নিয়ে চালার বাজারে যাচ্ছিলাম।
চালার বাজার সেতু পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে মামলায় উল্লেখিত ১নং আসামি সিমিন হোসেন রিমির হুকুমে ও নির্দেশে অন্য আসামিরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এই সময় আ.লীগের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। হামলার সময় আমার ছেলে সাগরের মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং ১৫ থেকে ১৬ জনকে গুরুতর আহত করে।
এসময় আসামিরা ৫/৬টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। উল্লেখিত আসামিরা হামলা করে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ঘটায়। তাদের হামলায় এক কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে মামলায় উল্লেখ করে। কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া বলেন, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ