রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কার্গো ট্রলির সংস্কার না হওয়াতে কাপ্তাই লেকে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বাঁশ

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কার্গো ট্রলির সংস্কার না হওয়াতে কাপ্তাই লেকে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বাঁশ

গত ৩৮ বছরেও কার্গো ট্রলির সংস্কার না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে কোটি টাকার বাঁশ নষ্ট হচ্ছে। কাপ্তাই পিডিবির আওতাধীন কার্গো ট্রলির মাধ্যমে লেকের বাঁশ পার্শ্বস্থ কর্ণফুলী নদীতে পারাপারে বিঘ্নিত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিসহ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৮৬ সালে এটি নির্মিত হয়। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৮ বছরেও কার্গো ট্রলিটি আর সংস্কার করা হয়নি। পার্বত্যাঞ্চলের বাঁশসহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল কাপ্তাই লেক পথে কার্গো প্রনালীতে এসে জড়ো হয়। এরপর কার্গো ট্রলির মাধ্যমে তা কর্ণফুলী নদীতে পারাপার করা হয়ে থাকে। 

প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এভাবে কাঁচামাল পারাপার হচ্ছে। বাঁশসহ এসব কাঁচামাল রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, মিরসরাই, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।      

এদিকে, বনবিভাগ ও কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষসহ সরকারি নির্ধারিত রাজস্ব দিয়েই বাঁশসহ বিভিন্ন কাঁচামাল পরিবহন করছে ব্যবসায়ীরা।  কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কার্গো ট্রলির যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান না করে কোনমতে কাঁচামাল পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ। ফলে মালামাল পারাপারে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি রয়েই গেছে। 

কার্গো ট্রলি ভাল থাকা অবস্থায়  প্রতি ঘণ্টায় ১০-১২ ট্রলি বোঝাই বিভিন্ন কাঁচামাল পারাপার করা হতো। বর্তমানে ঘণ্টায় ৩-৪ ট্রলি বোঝাই কাঁচামাল পার করতে বহু কষ্ট এবং মারাত্বক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে চালকদের। কার্গো ট্রলি দিয়ে পারাপার কমে যাওয়ায় বাঁশ ব্যবসায়ীরা ঠিকমত মালামাল সরবরাহ করতে না পারায় নদী ও লেকে কোটি টাকার বাঁশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে তারা মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়।    

বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার, মো. রাসেল প্রকাশ রাশু ও খোরশেদ আলম জানায়, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বাঁশ এবং অন্য মালামাল নির্দিষ্ট পরিমানে পারাপার করতে পারছি না। কার্গোতে যান্ত্রিক সমস্যার ফলে মালামাল আগের মত পারাপার করা যাচ্ছে না। কার্গো ট্রলি চলছে ধীর গতিতে। বাঁশ ও বিভিন্ন মালামাল সময়মত সরবরাহ করতে না পারায় নদী ও লেকে কোটি টাকার বাঁশ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

আমাদের এখন পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা বাঁশ পরিবহন করতে বনবিভাগকে ১৫ ভাগ এবং কার্গো ট্রলিকে টন প্রতি ২৫ টাকা রাজস্ব দিয়ে আসছি। আমরা চাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্গো ট্রলি কর্তৃপক্ষ দ্রুত যান্ত্রিক সমস্যা সমাধান করুক। এতে করে সরকার ও বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করতে পারবে। 

যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের কার্গোতে যান্ত্রিক সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, মেসার্স এন্টারপ্রাইজ ও জেবি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান কার্গো ট্রলি সংস্কার করার কাজ পেয়েছে। মেরামতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমরা বুঝে নিয়েছি। অতিদ্রুত সংস্কার কাজ করা শুরু করা হবে।

টিএইচ