শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

কালকিনিতে কামারদের ব্যস্ত সময় পার

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

কালকিনিতে কামারদের ব্যস্ত সময় পার

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার শুধুই টুং টাং শব্দের প্রতিধ্বনি। এসময় দা, বঁটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামাররা। এসব সরঞ্জাম নতুন তৈরি এবং পুরাতনগুলো সান দিতে ব্যস্ত এখন কালকিনির কামাররা। তাদের এই ব্যাস্ততা চলবে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। 

তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়া তাদের কাজে তেমন লাভ হচ্ছে না। ব্যাবসায়ে লোকসান হলেও বাব-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাদের এই হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম। কোরবানির ঈদ আসলে কামারদের কর্মব্যাস্ততা একটু বেড়ে যায়। কোরবানি ঈদ ব্যতিত বছরের প্রায় সময় অলস কাটাতে হয় তাদের। এসময় কামারদের সকাল থেকে সন্ধা প্রযন্ত কাজ করতে দেখা যায়।

 সারা বছরের অলস সময় বসে থাকাটাকে এখন কাজ দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন এই অতিরিক্ত পরিশ্রম তাদের সারা বছরের অর্থের যোগান দিয়ে থাকে। এসময় কামারপারায় দিকে গেলে শোনা যায় শুধু কামারসালার টুং টাং শব্দ। আধুনিক ওয়ার্কশপের তাপদাহে কপাল পুরে ছাই হয়ে গেছে কামারদের। কেননা এখন লোকজন আর কামারদের দিয়ে দা, বটি বানায় না। কামারদের এই স্থান এখন দখল করে নিয়েছে আধুনিক ওয়ার্কশপ। সবাই ওয়র্কিশপের রেডিমেট তৈরি দা, বটি কিনে নিয়ে যায়। 

কালকিনি পৌর-সভার গোপালপুর হাটের বিযয় কর্মকার বলেন, বছরের অন্য মাসগুলো আমরা কোন মতে দুমুঠো দুবেলা খেয়ে দিন পার করছি। বছরে বেশীরভাগ সময় আমাদের কাজ না থাকায় সংসার যোগানের টাকা আমাদের বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ আনতে হয়েছে আর এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। আর এ জন্য অনেক কার্মকার তাদের বাব, দাদার শতবছরের পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

একই এলাকার কামার বলাই বলেন, এ পেশায় একজন সহোযোগির প্রয়োজন হয় আর এই সয়োজগির এক দিনের পারিশ্রমিক হিসাবে তাকে দিতে হয় ৪০০ টাকা। আর ৪০০ টাকা আয় রাখতে নিজেই হার ভাঙ্গাপরিশ্রম করে দিন পার করছি। কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একটি দা তৈরিতে কামারীরা ২৫০-৩৫০ টাকা করে নিচ্ছে আর একটি চাকু তৈরি করতে দিতে হয় ১৫০ টাকা। 

ক্রেতারা জানান, কয়েকদিন পরে ঈদ তাই কোরবানির গরুর মাংস কাটতে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি তবে গত বছরের তুলোনায় এই বছর দাম অনেকটা বেশী।

টিএইচ