গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুরের বিভিন্ন এলাকার স্কুলপড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ অনেকেই অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়ায় মত্ত।
মহানগরীর জুয়াড়িরা ওয়ান এক্স রিট এবং লাইন এক্স বিট এ দুটি অনলাইন জুয়ায় সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট ও আসক্ত। খেলায় এতটাই আসক্ত যে মাদকের চেয়েও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি প্রায় প্রতিটি বাজারেই আড্ডার আড়ালে চলছে রমরমা অনলাইন ক্যাসিনো নামের জুয়া ।
অনেকেই আবার এই জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বেছে নিচ্ছে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো মারাত্মক অপরাধ। যার কারণে সমাজে বিরাজ করছে এক ধরনের দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা। অনলাইন জুয়ায় টাকা-পয়সা নষ্ট করে পারিবারিকভাবে অশান্তিতেও ভুগছে অনেকেই। এছাড়াও বাড়ছে পারিবারিক কলহসহ নারী নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অপরাধ। সব মিলিয়ে চরম বিপদগামী হচ্ছে আসক্তরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জুয়ার এসব সাইটগুলো অধিকাংশই পরিচালনা করা হয় রাশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বিদেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের এজেন্টরা। জুয়ায় হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে বিদেশে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
এসব জুয়া বন্ধে প্রশাসনের কাছে জোড় নজরদারি কামনা করেন স্থানীয় সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনরা। মহানগর জুড়ে এসব অনলাইন ক্যাসিনো বন্ধে বা ক্যাসিনো জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছেনা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
অথচ এসব সামাজিক অপরাধ নির্মূলের জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে রয়েছে বিট পুলিশিং কমিটি। কমিটির কার্যালয় ও সদস্যরা বিভিন্ন এলাকার অনেকটাই বাজার কেন্দ্রিক। ওইসব সদস্যরাও অনলাইন জুয়ার দৃশ্য দেখেও কোনো পদক্ষেপ নেয়না বলে জানান বিভিন্ন এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা।
এবিষয়ে কাশিমপুর থানার ওসি রাফিউল করিম রাফি জানান, কাশিমপুরের অনলাইন ক্যাসিনো বা জুয়া সম্পর্কে আমি অবগত নই। দৃশ্যমান জুয়ার চেয়ে অনলাইন জুয়া খেলা শনাক্ত করা অনেকটাই জটিল। এ জুয়া সম্পর্কে এখন পর্যন্ত থানা পুলিশকে কেউ তথ্য দেয়নি। সঠিক তথ্য পেলে অভিযান চালিয়ে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ