সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি
  • ৩ মাসের কমিটিতে প্রায় এক যুগ পার
  • কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েও ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত নেতাকর্মীরা

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের ৩ মাসের আহ্বায়ক কমিটি প্রায় এক যুগ পার হয়েছে। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েও কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত হয়েছে নেতাকর্মীরা। যার ফলে সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন নাজুক হচ্ছে।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ ২০১২ সালের ৩ জুলাই আমিনুল ইসলাম বকুলকে আহ্বায়ক, মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও রুহুল আমিন খানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

৯০ দিনের আহ্বায়ক কমিটি বর্তমানে প্রায় ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও আর জেলা যুবলীগের কমিটি হয়নি। একই অবস্থা উপজেলা যুবলীগের কমিটিগুলোতেও। প্রায় সবগুলো উপজেলাতেই দীর্ঘদিন নতুন কমিটি নেই। যার ফলে ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। 

বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েছেন। এদিকে দীর্ঘ সময় জেলা যুবলীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয় জেলার অনেক নেতরা। পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় যুবলীগ কিছুটা গতি পায়। 

চলতি বছর ১২ জানুয়ারি যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে যুবলীগের প্রধান কার্যালয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ শিক্ষা সনদের ফটোকপিসহ জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়। 

এর আগে গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতেও ওই সময় জেলা যুবলীগের সম্মেলনের কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে পদ প্রত্যাশীদের প্রচার-প্রচারণায় শহরের অধিকাংশ বিলবোর্ড ছেয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হলে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। 

তবে এ কার্যক্রম বর্তমানে খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত হয়েছে নেতাকর্মীরা। তবে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। 

ইতিমধ্যে পদ প্রত্যাশীরা নিজেদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সভাপতি পদে জোর আলোচনায় আছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য বাছির উদ্দিন রিপন, জেলা যুবলীগ কমিটির ২ জন যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম মীর সোহেল ও রুহুল আমিন খান, সাবেক ছাত্রনেতা আশিক জামান এলিনসহ অনেকেই।

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ১নং সদস্য রাশেদ জাহাংগীর পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম হুমায়ুন, জেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ আফাকুল ইসলাম নাটু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, সাবেক ছাত্রনেতা মল্লিক রাজন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিমন ঢালী, সাবেক ছাত্রনেতা সামিউল হাসান চৌধুরি লিমনসহ অনেকেই।

টিএইচ