ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দিলেও কিশোরগঞ্জে সেই দামে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৫০-১৮০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্যাস বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার বেশি ব্যবহার হয় গৃহস্থালির রান্নার কাজে। চলতি মাসের শুরুতে দেশে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২ কেজিতে ৭৫ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
৩ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৯৯৯ টাকা, যা জুনে ছিল ১ হাজার ৭৪ টাকা। তবে সরকার নির্ধারিত এই দামে এলপিজি গ্যাস কোথাও বিক্রি হচ্ছে না।
গত রোববার সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও ১৫০-১৮০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। সেখানে কথা হয় মো. শাকিল নামের এক ক্রেতার সঙ্গে।
তিনি বলেন, সরকার ১২ কেজি এলপিজি সিল্ডারের দাম কমিয়ে ৯৯৯ টাকা করেছে। তবে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ১১৮০ টাকায়। তাহলে সরকার কী দাম নির্ধারণ করল আর বাড়তি কাদের পকেটে যায়।
সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা ডিলার থেকে গ্যাস কিনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানান, ডিলাররা সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫০-৬০ টাকা বেশি নিচ্ছে। এ কারণে আমাদেরও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলায় বসুন্ধরা, ওমেরা ও ফ্রেশ গ্যাসের ডিলার রয়েছে। তাদের কাছ থেকে গ্যাস কিনে খুচরা বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। তারাই সিন্ডিকেট করে নিজেদের মতো করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলাররা জানান, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গ্যাস পৌঁছে দিতে যে খরচ হয়, তা হিসাব করে বাড়তি কিছু নেয়া হয়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হূদয় রঞ্জন বণিক বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি ভোক্তা অধিকার বিরোধী বেআইনী কাজ। অচিরেই আমরা বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নিব।
টিএইচ