প্রতিবছরই আগাম বন্যায় জমির ফসল সঠিক সময়ে কৃষক ঘরে তুলতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তাই এবার কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যার পানি থেকে বোরো ধান রক্ষায় ১৪১ কিমি ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামসহ ৯ উপজেলায় এসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
আগের বাঁধগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাওরের কৃষক পরিবারগুলো। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ/মেরামতকাজ বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কাবিটা নীতিমালা-২০২৩ মোতাবেক বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।
জেলার ৯ উপজেলায় ১২৪টি পিআইসির মাধ্যমে ১৯ কোটি ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪১ কিমি বাঁধ নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাজের অগ্রগতি ও মান পরিদর্শনের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পিআইসিসমূহের কাজ পরিদর্শন করে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান হাওরে বাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনকালে কাজের অগ্রগতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে এলাকার সুবিধাভোগী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এ সময় এলাকার লোকজন বাঁধ নির্মাণকাজের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চলতি বছরের আগাম বন্যার হাত থেকে ফসলরক্ষায় পিআইসি কর্তৃক নির্মিত বাঁধসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
বাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান কৃষকরা ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক বাঁধসমূহের প্রতি নজর রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ১২৪টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে বাঁধ নির্মিত হয়েছে। আশা করি এবারও কৃষক নির্বিঘ্নে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।
টিএইচ
