শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রৌহা বিলে বাউত উৎসবে মানুষের ঢল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রৌহা বিলে বাউত উৎসবে মানুষের ঢল

অবহমান গ্রামবাংলার চিরাচরিত উৎসবের মধ্যে ব্যতিক্রমী হচ্ছে মাছ ধরতে পলো বাওয়া বাউত উৎসব। ঐতিহ্যবাহী এ বাউত উৎসবে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শৌখিন মৎস শিকারিরা শিশির ভেজা সকালে ঠেলা জাল, হাত খড়া, নেট পলো, ডোবা জাল, খেওয়া জাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে ছুটে আসে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রৌহা বিলে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর থেকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জিনারাইল বিশাল বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রৌহা বিলে মাছ ধরার এ উৎসবে মেতেছেন।

এর আগে এলাকার মাইকে ঘোষণা দেয়ায় আশ-পাশের এলাকা থেকে সব বয়সী মানুষ পেশাজীবীরাও এ উৎসবে যোগ দেন। যদিও এবার আগের মতো মাছ ধরা পড়েনি তবুও মানুষের মনে ছিল উৎসবের আনন্দ। বিলের দুই পাড় জুড়ে ভিড় করে হাজারো দর্শনার্থী।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে আগত আ. রহমান বলেন, আমি ছোট সময়ে আমার বাবার সাথে এ বিলে এসেছিলাম । এখনো ভালো লাগা থেকে আসি। তবে এবারে আগের মত মাছ নাই! 

তিনি আরও বলেন, মাছ ধরার সময় বিল পাড়ে জড়ো হওয়া মানুষগুলো একসঙ্গে হৈ-হুল্লোড় করে। মাছ ধরার সময় হাঁক-ডাক দিতে থাকেন। কারও পলোতে মাছ ধরা পড়লেই উচ্ছ্বাসে মাতেন সবাই। বিলে বেশিরভাগ শোল, বোয়াল, গজার, আইড়, রুই মাছ ধরা পরে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহীন আলম বলেন, এ বিলে আমার বাপ-দাদারা মাছ ধরেছে। এটা আমাদের কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ শিকারি ভাইয়েরা এখানে মাছ ধরতে আসে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর মাছের সংখ্যা কম তবুও শিকারিরা এখানে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জিনারাইল বিশাল বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত রৌহা বিলে বহু বছর আগে থেকে মাছ ধরার উৎসব হয়। এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এটি একটি বড় উৎসব। এটা বাংলার এক অনন্য ঐতিহ্য।

টিএইচ