শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

কুমারখালীতে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৬

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুমারখালীতে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৬

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাজ জর্জের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের (ট্রাক) সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

গত শুক্রবার রাত সাড় ৮টার দিকে যদুবয়রা জয়বাংলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আহতরা হলেন নৌকার সমর্থক শাজাহান আলী বাবু, তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম বাশার ও সানি। তাদের বুকে, পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তারা উপজেলা ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহতরা হলেন বিল্লাল হোসেন, বাপ্পী শেখ ও তুষার। তাদের মধ্যে বিল্লালের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তারা এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি।

এ বিষয়ে নৌকার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান সাবু বলেন, আমার লোকজন স্বতন্ত্র অফিসের সামনে দিয়ে নৌকার মিছিল করতে করতে যাচ্ছিল। সে সময় মিজান চেয়ারম্যানের (যদুবয়রা ইউপি) নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে বাবু, বাশার ও সানি গুরুতর আহত হন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নৌকার সমর্থকরা প্রথমে আমাদের বহলবাড়িয়া অফিস ভাঙচুর করে। পরে ছাতিয়ান অফিস ভাঙচুর করে। এরপর জয়বাংলা অফিস ভাঙতে এসে আমার ওপর হামলা চালায়। 

এতে আমার তিনজন কর্মী আহত হন। এছাড়াও মিলন, লিখন ও রাব্বি নামের তিনজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার ভাষ্য, তিনি সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত নন। তাকে রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে যান এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। খুব দ্রুত বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

টিএইচ