রমজান মাসে ইফতার সামগ্রীর দাম এতটায় বৃদ্ধি পেয়েছে যা রোজাদারদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছ। সোমবার (১১ মার্চ) কুষ্টিয়ার পাইকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, এবছর ইফতারী সামগ্রীর দাম এতটা বেশী যা অতীতে হয়নি।
মজমপুর গেটের সানজিদ ফল ভান্ডের মালিক কালু মিয়া বলেন, খেজুর, আপেল, আংগুর, বেদানা, মালটাসহ সব ধরনের ফলের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুন কোন কোন ক্ষেত্রে তিনগুন। দিন মজুর গরীব শ্রেণির মানুষগুলো এবার এসব ফলদিয়ে ইফতার করতে পারবে না। তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় কিভাবে এত বেশী দামে ফল কিনে ইফতার করবে।
ঢাকার বড় বড় ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবধরণের ফলের দাম দ্বিগুন তিনগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা যে দামে কিনছি তার উপর ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করছি। ওই ফল ব্যবসায় জানান, এ বছর রমজানে কালমি প্রিমিয়ার খেজুর ৫ কেজীর বক্স ৪ হাজার ৫শ টাকা, খালাস খেজুর ১০ কেজীর বক্স ৩ হাজার ৭শ টাকা, আমিরা গোল্ড ৩ হাজার ৪শ টাকা, জামজামি মিটজল ৫ কেজী ৬ হাজার ৭শ টাকা, মাসরুক ৫ কেজী ৩ হাজার ২শ টাকা, ভিআইপি কালমি ৫ কেজী ৪ হাজার ২০০ টাকা, নাগাল ১০ কেজী ৪ হাজার ১শ টাকা, রেজিস ১০ কেজী ৪ হাজার ২শ টাকা, আল জেরিয়া কাঁচাপাকা ৫ কেজী ২ হাজার ৫শ টাকা। আঙ্গুর ২০ কেজীর ঝুড়ি ৫ হাজার ৩শ টাকা, আপেল ২০ কেজীর বক্স ৪ হাজার টাকা, বেদানা প্রতিকেজী ৩২০ থেকে ৩৪০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তাতে করে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২ থেকে ৩ গুন দাম চড়া। কুষ্টিয়ায় হাতে গোনা ১২ থেকে ১৫ জন ফল ব্যবসায়ী পাইকারী ফল বিক্রি করছে। এদের কাছে কুষ্টিয়া জেলার অন্য ফল ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে বেশী দামে ফল বিক্রির অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে ভোক্তারা জানায়।
ভোক্তারা বলেন, রমজান মাস আসলেই বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো রমজানের পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেয়। অথচ আমাদের দেশে ২ থেকে ৩ গুন বৃদ্ধি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা মোনাফা করলেও সরকারের এ ব্যাপারে কোন নজর নেই।
বাজারে রমজানের ইফতার সামগ্রির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারউ পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল জানান, বাজারে সার্বক্ষণ মনিটরিং চলছে।
সোমবার (১১ মার্চ) কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে চারটি ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়, এ সময় ফল ব্যবসায়ীদের গরমিল দেখা দিলে চারজন ফল ব্যবসায়ীকে ১০০০ টাকা করে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অতিরিক্ত দামে কেউ বিক্রি করলে ছাড় পাবে না। আমরা সব সময় বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছি এবং অব্যাহত থাকবে।
টিএইচ