কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহূত স্পিরিট পান করে নুরুল ও কাশেম নামের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গঞ্জের আলী নামের এক ব্যক্তি স্পিরিট পান করে চরম অসুস্থ অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে স্পিরিট বিক্রেতা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হামিদুল পলাতক রয়েছেন। মৃত নুরুল ইসলাম (৫০) কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে। তিনি একজন মোটরশ্রমিক।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই সঙ্গে স্পিরিট পানে গত শনিবার রাতে কাশেম আলী (৪০) মারা যান। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। কাশেম আলী নুরুলের সহযোগী ছিলেন। অসুস্থ গঞ্জের আলী দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে।
কুমারখালী থানা ও মৃতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামের হামিদুল ডাক্তারের হোমিওপ্যাথি দোকান থেকে নুরুল ইসলাম এবং কাশেম আলী স্পিরিট কিনেন। এরপর একটি মুদি দোকানে বসে পান করেন।
পরে এরা গঞ্জের আলীকে সাথে নিয়ে পুনরায় স্পিরিট পান করেন। সেদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা ও স্থানীয় লোকজন তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নরুল ও কাশেমের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, স্পিরিট পান করার কারণে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। অসুস্থ অবস্থায় এখনো একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম জানান, স্পিরিট পানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে । এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তির স্বজনরা এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে আমরা ইউডি মামলা নিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ