বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১
The Daily Post

কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

সাইফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

কুড়িগ্রামে সয়াবিনের ঘাটতি এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা। সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় পেয়ে দুই ফসলি জমি থেকে তিন ফসলি জমি উন্নতি করে অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা। 

চলতি কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি গড়ে ফলন পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫ মণ। সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ জমি এক ও দুই ফসলি। 

শুধু আমন ও বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল ছিলেন এ অঞ্চলের কৃষক। অপেক্ষাকৃত নীচু জমি হওয়ায় প্রতিবছর বন্যায় কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জমিগুলো কয়েক মাস পানিবন্দি হয়ে পতিত থাকে। পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত এখানে চাষাবাদ হতো না। ফলে কৃষকদের আমন ও বোরো চাষাবাদের মাঝামাঝি সময় জমিগুলো অনাবাদি থাকতো। 

এসব দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। এতে করে কৃষকরা পতিত জমি ব্যবহার করে অর্থনৈতিক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে কৃষকের জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরিষার বাম্পার ফলনে একদিকে রান্নার তেলের সংকট কমার পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি বিস্তার ঘটছে। 

রাজারহাট সদর উপজেলার ছত্রজিৎ গ্রামের কৃষক কাজল চন্দ্র রায় জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এবার ফলন বেশ ভাল হয়েছে। আমার এই জমিতে বছরে দু’বার ফসল করতাম। কিন্তু এবার আরডিআরএস বাংলাদেশ হতে সার, বীজ, কীটনাশক পেয়েছি। 

বিঘা প্রতি হালচাষ, সেচ, ওষুধ, কাটামাড়াসহ সরিষা চাষে ৫/৬ হাজার টাকা খরচ করে হয়েছে। বিঘা প্রতি ৭/৮ মণ সরিষা পাওয়ার আশা তার। বর্তমান বাজার দরে সরিষা ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা মণ হিসেবে ১৮ হতে ২০ হাজার টাকা লাভ করবেন কৃষক। 

কৃষিবিদ আব্দুস সাত্তার জানান, বেসরকারি সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আরডিআরএস বাংলাদেশের বাস্তবায়নে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় রাজারহাট উপজেলায় ১০০ একর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। তেল জাতীয় ফসল চাষ সমপ্রসারণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জেলার কৃষি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। 

রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুন্নাহার সাথী বলেন, তেল আমদানির নির্ভরতা কমাতে সরকারি-বেসরকারিভাবে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। 

টিএইচ