যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষি জমি ও মৎস ঘেরের পাড়ে শিম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন সবজী চাষিরা। শিম শীতকালীন সবজি এখন প্রায় বারো মাসেই চাষ করছেন কৃষকরা।
এতে লাভবানও হচ্ছে বেশী। অন্য ফসলের তুলনায় চাষিরা দ্বিগুনেরও বেশী লাভ পাচ্ছে এ ফসলে। ফলে প্রতিবছর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে শিমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে সবজী চাষের উপযোগী এলাকার পাশাপাশি নীচু এলাকাতেও হচ্ছে শিমের চাষ। নীচু এলাকায় মাছের ঘেরের পাড়ে চাষ করা হচ্ছে শিম।
উপজেলার সুফলাকাটি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়ন দুটি ভবদহ এলাকা সংলগ্ন হওয়ায় বছরের বেশীর ভাগ সময় ধরে ওই ইউনিয়নের অধিকাংশ বিল এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন হিসাবে মাছ চাষ শুরু করেন তারা।
আর সেই ঘেরের পাড়ে শিম চাষ করে স্বপ্ন দেখছেন সাবলম্বী হওয়ার। প্রতি মণ শিমের বর্তমান বাজার মূল্য ৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। যা কখনো কখনো আরো বেশী দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিম চাষিরা বলেন, শিম একটি লাভজনক ফসল আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছর এক বিঘা জমি থেকে খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, কেশবপুরে গত বছর শিম আবাদ হয়েছিল ১৩০ হেক্টর জমিতে এবছর তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩২ হেক্টরে।
টিএইচ