গত দুদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় চিংড়ি ঘের, রোপা আমনের বীজতলা, নিচু জমি, ও তরকারির ক্ষেত খামার তলিয়ে গেছে। কয়রা, সদর, উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশি, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর, বাগালী ইউনিয়নের ছোট বড় সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে একাকার।
এ অবস্থায় চিংড়ি চাষিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ৫নং কয়রা গ্রামের চিংড়িচাষি রাজ্জাক মল্লিক জানিয়েছেন, গত বুধবার ঘেরে ৩৫ হাজার টাকার বাগদার পোনা ছাড়া হয়েছে। দুদিনের বিরামহীন বৃষ্টিতে ঘেরের রাস্তা ডুবে যাওয়ায় পোনা আশপাশের ঘেরে ঢুকে পড়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
১নং কয়রার মাঝের আইট গ্রামের ঘের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতিবর্ষণে তার ৫ বিঘার জমির ঘের তলিয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় চাষিরা শঙ্কায় ভুগছেন।
অনেক জায়গায় ঠিকমতো পাানি নিস্কাশনের সুযোগ না থাকায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ৬নং কয়রার কৃষক বিধান মণ্ডল ও মনোরঞ্জন মণ্ডল। শ্রাবণের শেষ সময়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেলে পুণরায় বীজতলা তৈরি করা কৃষকের পক্ষে সম্ভব হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতিবৃষ্টিতে ক্ষেত খামার ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
টিএইচ