দিনাজপুরের খানসামায় প্রচণ্ড রোদ ও দাবদাহের কারণে আমন বীজতলা নিয়ে বিপাকে কৃষকরা। বৃষ্টি ও পর্যাপ্ত পানির অভাবে বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। কোথাও কোথাও সেচ দিয়ে হলেও জমিকে বীজতলার জন্য উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। সারা দেশের মতো খানসামার ওপর দিয়েও কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সূর্যের তাপ রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ সূত্রে জানা যায়, এই মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ৮৪৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে জন্য প্রায় ৭১০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, অনেক কৃষক ইতোমধ্যেই বীজতলা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছেন। সময়মতো বৃষ্টি আর পর্যাপ্ত পানির অভাবে বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অনেক চেষ্টায় কোনো রকমে বীজতলা তৈরি করলেও, তা শুকিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কোথাও কোথাও সেচ দিয়ে হলেও উপযোগী করে তোলা হচ্ছে বীজতলা।
টংগুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মাজেদ বলেন, সেচ দিয়ে কোনোরকমে ধান বীজ ছিটিয়েছি। এখন বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার চাষিরা। তবে এ জন্য এখনই দুচিন্তার কারণ নেই। বীজতলাতে বীজ ছিটানোর জন্য আরও কিছুদিন সময় হাতে আছে।
টিএইচ