শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

খানসামায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

খানসামায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ৯ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ট্যাব গ্রহণকারীর তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি বিষয়ে উপজেলার খানসামা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কালিতলা উচ্চ বিদ্যালয় ও কুমড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। 

জানা যায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প-২০২১ থেকে পাওয়া ট্যাবলেট (ট্যাব) প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খানসামা উপজেলার ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির ২৮২ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ১ থেকে ৩ রোল অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষকরা নিজের পছন্দে তালিকা তৈরি করে উপজেলায় প্রেরণ করেন। 

গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হলরুমে ট্যাব বিতরণ করার পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ট্যাববঞ্চিত শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কালিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, আমি একজন ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। আমার রোল নম্বর- ০৩ (মানবিক বিভাগ)। আমার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার নিয়ম অনুযায়ী ১ হতে ৩ নম্বর রোল ধারীদের দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা না দিয়ে একই ক্লাসের ৬ নম্বর রোল ধারী ছাত্রী মোছা. রাব্বিনাকে উক্ত উপহারের ট্যাবটি প্রদান করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান। যাহা নিয়ম বর্হিভূত।

কালিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন ইশারত জাহান অনিয়মিত একজন ছাত্রী ও মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। ট্যাপ নেয়ার জন্য তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তার পরিবার সাড়া দেয়নি। সেই কারণেই ৬ রোলের শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে খানসামা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২৩ রোলের ওই ছাত্রী গরীব ও মেধাবী হওয়ায় তাকে আমরা ট্যাব দিয়েছি। তবে অভিযোগ হওয়ার পর সেই ট্যাব ফেরত নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। আর সেই ছাত্রীকে স্কুল থেকে একটি ল্যাপটপ কিনে উপহার দেয়া হবে। 

 উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক বলেন, সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী স্কুল থেকে প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই তালিকায় যদি কোন অসংগতি থাকে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার বলেন, ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ৩টি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ৩ প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনানোর নোটিশ প্রেরণ করা হবে এবং পরিপত্র অনুযায়ী ট্যাব বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।

টিএইচ