কখনো পুলিশ, কখনো এনএসআই আবার কখনো বিসিএস ক্যাডার পরিচয়ে অর্ধশতাধিক তরুনীদের সঙ্গে গড়েছেন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নিতেন স্বর্ণলঙ্কাসহ বিপুল অর্থ। বিপ্লব বড়াল (৩২) নামের এমনই এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (২ মার্চ) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান। তিনি বলেন, বিপ্লব বড়াল বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে অর্ধ শতাধিক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
সমপ্রতি এমনই এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার খুলনা সদর থানা পুলিশ ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার বিল ছোনাওঠা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপ্লব বড়ালকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ও তার ভাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার নামে ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার কাছে পাওয়া গেছে ৪টি এনএসআই’র কার্ড ও ২টি জাতীয় পরিচয়পত্র। একটিতে তার নাম বিপ্লব তালুকদার ও পিতার নাম মনির তালুকদার আরেকটিতে বিপ্লব বড়াল ও পিতার নাম দিরেন বড়াল। পুলিশ বলেছে, আটক বিপ্লব বড় মাপের প্রতারক। চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী ও অবৈধ কাজে লিপ্ত করত নারীদের।
পুলিশ বলছে, সে নিজেকে এনএসআই, ডিজিএফআই, পুলিশ কর্মকর্তা, বিসিএস কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে অনৈতিক ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে।
কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ভয় দেখিয়ে অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনসহ তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও নগদ অর্থ আত্মসাত করাই তার মূল পেশা। বিপ্লব বড়াল ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত। তিনি ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানাধীন বিল ছোনাওঠা এলাকায় তার বাড়ি। তার বিরুদ্ধে ০২ টি মামলা রয়েছে এবং তার বড় ভাই মনা বড়াল একজন পেশাদার ডাকাত তার বিরুদ্ধে কাঁঠালিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ০৪ টি মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) গোপীনাথ কানজিলাল ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু পিসি) ইমদাদুল হকসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ