গজারিয়ায় প্রায় ২৬০ মিটার এলাকায় নদীর ভাঙন রোধে ফেলা হচ্ছে ৬ হাজার জিও ব্যাগ। গত মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের আশ্রাব্দী গ্রামের মো. জামাল হোসেনের বাড়ি থেকে মোল্লা বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২৬০ মিটার মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকে মো. জামাল হোসেনের বাড়ি থেকে জিও ব্যাগ ফেলছে সরজ ইন্টারন্যাশনাল নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই জিও ব্যাগ ফেলানো হবে মোল্লাহ বাড়ি পর্যন্ত।
জানা যায়, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পানির তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হোসেন্দী গ্রামের মোল্লাহ বাড়ি-সংলগ্ন এলাকা প্রায় ২৬০ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। এ ছাড়া গত বছর বেশ কয়েকটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জরুরি ভিত্তিতে নদীরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরজ ইন্টারন্যাশনাল কাজ পায়।
হোসেন্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু জানান, নদীভাঙন নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আমি বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে আসছি, কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে হোসেন্দী গ্রামে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। আমি সকাল থেকে এই এলাকার মধ্যে রয়েছি। এটা অনেক কম হয়ে গেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে ভাঙন রোধে কাজ করতে হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরজ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পরিচালক মইদুল ইসলাম মহিন উজ্জ্বল হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, আমরা গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছি, যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার চেষ্টা করব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইঞ্জিনিয়ার এসডি রাকিব হোসেন বলেন, জিও ব্যাগ ফেলার বিষয়টি আমরা গতবারও মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলাম। তবে এ বছরের শুরুতে ২৬০ মিটার এলাকার জন্য ৬ হাজার জিও ব্যাগ পেয়েছি। এ জন্য এখন কাজ করতে পারছি। ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে আরও বেশি জায়গার জন্য আবেদন করা হবে।
টিএইচ