প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশে গত বছর মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তি বেশি হয়েছে। গত বছর বিচার বিভাগ ৮ লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেছে আর মামলা দায়ের হয়েছে ৭ লাখের মতো।
এছাড়া গত বছর সুপ্রীম কোর্ট ১৫৫টি ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করেছে, যা গত ৫০ বছরেও হয়নি। আমরা বিচার বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জুডিশিয়ারিকে আরও গতিশীল করার চেষ্টা করছি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেরপুরে মামলা নিষ্পত্তির হার ১৪২ ভাগ অর্থাৎ ১০০ মামলা দায়ের হলে পুরোনো মামলাসহ নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪২টি। এটি বেশ সন্তোষজনক। বিজ্ঞ আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।
তিনি আরও বলেন, বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক। যদি বার বেঞ্চকে সহায়তা না করে তবে একা জজদের পক্ষে বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যাদের বয়স ৭০-৮০ বছর তারা জানেন, আগে দেশের অবস্থা কি ছিল আর এখন দেশের কি অবস্থা। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। যতো প্রতিকূলতাই আসুক না কেন, এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে বিচার বিভাগকেও সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
একটি গতিশীল রাষ্ট্রের সাথে বিচার বিভাগকেও গতিশীল করতে হবে। তিনি আইনজীবী ও বিচারকদের সততার সাথে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতির সাথে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার মুন্সী মশিয়ার রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মো: তৌফিক আজিজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এমকে মুরাদুজ্জামান, সাধারণ স¤পাদক মমতাজ উদ্দিন মুন্নাসহ স্থানীয় আইনজীবী ও গণমাধ্যমর্কমীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জেলার বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত লাইব্রেরি কক্ষ উদ্বোধন শেষে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
টিএইচ