ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হনুফা (২২) নামে নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে গফরগাঁও থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের পিতা গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের চর্দিকান্দা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত হনুফা ওই এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, গত দুই মাস আগে পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার সাকুয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে হনুফার সঙ্গে গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের চর্দিকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে রাসেল মিয়া।
গতরাতে রাসেল মিয়ার সঙ্গে তার স্ত্রী হনুফার মোবাইলে ঝগড়া হয়। পরে রাতে কোন এক সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। সকালে হনুফার শাশুড়ী জরিনা বেগম মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়। জরিনার চিৎকার শুনে আশে পাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে রাসেলের বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত হনুফার মা ফিরোজা খাতুন বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করে একদিনের জন্যও জামাই বাড়িতে আসেনি। স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে এনিয়ে ঝগড়া হয়। আমি আমার মেয়েকে হারালাম। আমি সঠিক বিচার দাবি করছি।
গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান খান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ