কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে ১৪টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাত আড়াইটায় উখিয়া উপজেলার বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই/৫ ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন।
সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, মধ্যরাতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৪টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আমির জাফর জানান, ওই ক্যাম্পের শামসুন্নাহারের ঘরে প্রথম আগুন লাগে। ১৪টি ঘরে আগুনে পুড়ে অনুমান ২১ লাখ টাকা এবং ৩০টি ঘর ভেঙে অনুমানিক ৩০ লাখ টাকাসহ মোট ৫১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। বর্তমানে ক্যাম্প এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
তিনি আরও বলেন, এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাকি দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুন কীভাবে ছড়াল খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এপিবিএন শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে আছে।
উল্লেখ্য, এ বছরের ৫ মার্চ একই ক্যাম্পের অন্য একটি ব্লকে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। ওই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ২২০০ ঘর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ তিনটি ক্যাম্পে এক সঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় ১১ জনের মৃত্যু ও ৫ শতাধিক আহত হন। পুড়ে গিয়েছিল ১০ হাজারের বেশি ঘর।
টিএইচ