সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

গারো পাহাড়ে ৩৫ হাজার কোরবানির গরু প্রস্তুত

শেরপুর প্রতিনিধি

গারো পাহাড়ে ৩৫ হাজার কোরবানির গরু প্রস্তুত

ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা গারো পাহাড়বেষ্টিত। জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতবাড়ী উপজেলার সীমান্তজুড়ে গারো পাহাড়ের এই তিনটি উপজেলার ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। 

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও এসব এলাকায় ৩৫ হাজার দেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্ষেতের ঘাস ও লতাপাতা খাইয়ে বড় করা হচ্ছে গরুগুলোকে। এসব গরুর চাহিদা বেশি। জেলার বাইরে থেকে পাইকাররা এসে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। খামারিরা জানান, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও পাহাড়ে পর্যাপ্ত ঘাস এবং লতাপাতা থাকায় গরুগুলোর পেছনে আলাদা খরচ নেই। যে কারণে অন্য এলাকার চেয়ে গরু পালনে তাদের লাভের পরিমাণও বেশি। 

প্রতিদিন খামারিরা সকাল ৮টায় তাদের গরু পাহাড়ে ছেড়ে দেয়। সারা দিন রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে জমির ঘাস ও পাহাড়ের লতাপাতা খায়। বিকেল ৪টায় গরুর রাখালরা গরুগুলো একত্রে করে বাড়ি ফিরে নিয়ে আসে। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট-বড় ১৩ হাজার ৭৩১ জন খামারি রয়েছেন। অনেক পরিবারও গরু, মহিষ ও ছাগল পালনের সঙ্গে জড়িত। এবার কোরবানির জন্য শেরপুর জেলায় ৫১ হাজার ২২৫টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি পশু। 

যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩২ হাজার বেশি। পশুগুলোর মধ্যে ৪০ হাজার ২৭০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৮৬৫টি বলদ, ১৩ হাজার ৭৯৪টি গাভী, ১ হাজার ৩৮৬টি মহিষ, ২২ হাজার ৩৯টি ছাগল, ৩ হাজার ৪৪৮টি ভেড়া। প্রস্তুত করা এসব পশু নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে হাট বাজারগুলোতে বিক্রি হবে। এদের মধ্যে সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার গরু পালন হচ্ছে। আর এসব গরুর পেছনে প্রায় ৪ হাজার পরিবার জড়িত। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া জানান, পাহাড়ি এলাকার গরুগুলো সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ তারা গরু মোটাতাজা করতে ওষুধ ব্যবহার করে না। এর জন্য পাহাড়ি গরুর চাহিদা। অনেক পাইকার ইতোমধ্যে পাহাড় এলাকা থেকে গরু কিনে নিয়ে গেছেন। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারাও পাহাড়ি গরুর কিনতে বেশি আগ্রহী।

টিএইচ