গোপালগঞ্জে টানা নয় মাস বেতনভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসই এখন নাভিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুকসুদপুর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা বেতনে কাজ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা। ৯ মাস পার হতে চললেও কোনো বেতনভাতা পায়নি তারা। একদিকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্যদিকে নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে তাদের। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মুকসুদপুর ১৯, কোটালীপাড়া ১৫ ও টুঙ্গিপাড়ায় ১৯ জনসহ মোট ৫৩ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের উদ্যোগ নেয় গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন দপ্তর। টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জনবল সরবরাহের কার্যাদেশ পায়।
নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী প্রতিমাসের ৫ তারিখে বেতন পরিশোধ করার শর্ত রয়েছে। কিন্তু কোন শর্তই পূরণ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় না পাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির।
ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছর ৯ এপ্রিল যোগদানের পর মাত্র দুই মাসের বেতন পাই। এরপর থেকে একটানা নয় মাস বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত আমরা। আউট সোর্সিং কর্মচারীদের বছরে দুটি উৎসব ভাতাসহ মাসের ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও ৯ মাস যাবত বেতন ভাতা দেয়া হচ্ছে না। বেতন না পেয়ে যাতায়াত ভাড়াসহ পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। অনেকেই ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন আউসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাকবীর এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি কেএম আশিক বলেন, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বকেয়া বেতনের কাগজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাস করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে। সব অবসান ঘটিয়ে দ্রুতই আউটসোর্সিং কর্মীরা বেতন পাবেন।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বেতনের বিষয় আমাকে কেউ জানায়নি। এখন জানলাম, আশা করি অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
টিএইচ