মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও গৃহহীনদের জন্য স্বপ্নের বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সেই স্বপ্নের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ, পানি ও লেট্রিনের সু ব্যবস্থা। স্বপ্নের ঘরে নিদারুন কষ্টে দিনযাপন করছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর সিলনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৪ পরিবার।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে হতদরিদ্রের পরিবর্তে চাকরিজীবী ও পাকাদালানের মালিকের নামেও দেয়া হয়েছে ঘর।
জানা গেছে, সিলনা আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে চার মাস ধরে ৩৪টি পরিবার বসবাস করছে। এই প্রকল্পে এখনো টিউবওয়েল বসানো হয়নি, ফলে পানির জন্য তাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
৩৪টি পরিবারের মধ্যে ১২টি পরিবার বিদ্যুৎ পেলেও এখনো ২২ পরিবারকে বিদ্যুৎতের অভাবে প্রচণ্ড গরমে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
এখানকার ৩৪টি পরিবারের মধ্যে ১৯টি পরিবারের ঘরের লেট্রিনের সাথে পাইপ লাইনের মাধ্যমে চাড়ির সংযোগ না থাকায় তারা তাদের লেট্রিন ব্যবহার করতে পারছেনা। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ নিজেরা লেট্রিন বানিয়ে ব্যবহার করছে। যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরকে চক্ষু লজ্জা ফেলে অন্যের লেট্রিন ব্যবহার করতে হচ্ছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রহিমা বেগম ও আবুল বসার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আমরা আনন্দিত। ঠিকাদারের অনিয়মের কারইে বিদ্যুৎ, পানি ও লেট্রিনের কিছু কাজ বাকি থাকার কারণে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলাউদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে পড়ে, ২-৩ দিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ করা হবে। কিছু সচ্ছল ব্যক্তি ঘর পেয়েছে চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় আগামী সপ্তায় যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ব্যক্তিদের ঘর দেয়া হবে। এরপর ওই তালিকা বিদ্যুৎ অফিসে পাঠালে সংযোগ পেয়ে যাবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসিন উদ্দীন বলেন, বিদ্যুৎ পর্যায় ক্রমে যাবে। টিউবওয়েল ও টয়লেটের সমস্যা থাকার কথা না, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বললে জানতে পারবেন।
টিএইচ