সন্দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে টিনশিট ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষতিসহ বসতঘরে গাছ পড়ে ৪ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সমর মজুমদারের ঘরে গাছ ও বৈদ্যুতিক খাম্বা চাপা পড়ে, ঘর ভেঙে যায় ও ৪ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, হরিলাল মজুমদার, তার স্ত্রী গীতা রাণী মজুমদার, তাদের ছেলে সমর মজুমদার, সমর মজুমদারের স্ত্রী পুষ্পে রাণী ও তার ছেলে অরুপ মজুমদার আহত হয় আহতদের প্রথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকালে যখন প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছিল তখন হরিলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী ঘরে ছিলেন। ঘটনার সময় হরিলালের স্ত্রী তার ছেলের স্ত্রী রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আর হরিলাল ও তার ছেলে সমর মজুমদার ছিলেন ঘরের বারান্দায়। এ সময় ঘরের পাশে থাকা দুটি বড় বড় গাছ টিনের ওপরে পড়লে একই সঙ্গে গাছ বিদ্যুৎ খুটির তারে পড়ে তা সরাসরি হরিলাল ও সমরের মাথায় আঘাত করে।
এদিকে সোমবার (২৭ মে) সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে
সন্দ্বীপ ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ২১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিসিপির ১৪৬ ইউনিটের ২৯২০ জন সদস্য স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছে।
টিএইচ