সময়ের সাথে গরম হয়ে উঠছে রাজনীতি। পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম। গরম রাজনীতির মাঠে আ.লীগের চেয়ে বিএনপি চাঙ্গা। আমার সংবাদের মাঠ জরিপে দেখা গেছে, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ মিছিল করার দিন সময় ঘোষণার সাথে দেখা যায় ঈদ আনন্দ। শুরু হয় সমাবেশ মিছিল সফল করার জন্য উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন প্রচারণা।
তাদের টার্গেট থাকে মানুষ জমায়েত। নগরে কোনো সমাবেশ হলে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে শুরু করে উপজেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে গাড়িভর্তি লোক নিয়ে আসেন। থাকে বিরানির প্যাকেট বরাদ্দসহ সব সুযোগ-সুবিধা। মানুষ জমায়াত করার জন্য তাদের মনিটরিং খুবই শক্তিশালী দেখা গেছে।
নগরের সমাবেশে বাইর থেকে যেভাবে মানুষ আসে তা চোখে পড়ার মতো। তাদের নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে সমাবেশে চলে আসতে দেখা যায়। বিএনপির নেতারা কর্মীর জন্য অর্থ ও পরিশ্রম দুটোই সমান খরচ করেন। বিএনপির প্রতিটি মিনিট নয় সেকেন্ড যাচ্ছে রাজনীতি নিয়ে।
যেসব কর্মীরা চাকরি বা অন্য কাজে ছিলেন তাদের প্রায়দের নিজ নিজ এলাকায় দেখা যাচ্ছে। তাদের কাজ মিটিং মিছিলে যোগদান। তাদের চোখে মুখে দেখা যাচ্ছে উচ্ছ্বাস। সাধারণ কর্মী থেকে নেতা পর্যন্তদের অবস্থায় মনে হয় সরকার পরিবর্তন করে ফেলবেন।
তারা এখন সমাবেশ-মিছিলের শোডাউনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আ.লীগের ওপর হামলা মামলা দিয়ে চাঙ্গা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সমপ্রতি নগরের জামলখান ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের আ.লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদ করেন নগর আ.লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তার জন্য মামলা টুকে দিলেন বিএনপি। বিএনপির রাজনৈতিক কমর্কাণ্ডের ধারেকাছে নেই আ.লীগ।
নগরে কয়েকজন নেতা ও তাঁদের কর্মির ছাড়া মফস্বলে আরও কম দেখা যায়। তারা শুধু পদ-পদবী স্থানীয় সাংসদের গুণ কীর্তন ও নিজ নেতাদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন।
চট্টগ্রাম নগরে আ.লীগ থেকে নগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, তরুণ আ.লীগ ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের কর্মীরা ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আ.লীগ বিএনপিকে মোকাবিলা করার চাইতে গ্রুপিং রাজনীতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যস্ত থাকেন। উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক আ.লীগের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ নিজেই। কেউ স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় নেতা বা নিজ নেতা চোখের বাইরে রাজনীতি করতে তেমন দেখা যায়না। নেতাদের অবস্থা দেখে মনে হয় কর্মীরা যতবেশি তাদের আশপাশে থাকে আরও বেশি আনন্দিত।
আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আশপাশে আসতে পারবেনা। আ.লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় বিএনপি নিয়ে ব্যস্ত থাকা নিছক সময় অপচয়। অপরদিকে আ.লীগের কর্মী দিনে দিনে বিভিন্ন কারণে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন।
ত্যাগী কর্মীর ঘাটতি আছে বলে বিএনপি হামলা করার সাহস পাচ্ছে বলে মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আ.লীগের প্রার্থী বাচ্চুর নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে নগরের তাৎক্ষণিক কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে কর্মীরা এসেছিলেন। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আ.লীগের চেয়ে বিএনপি চাঙ্গা ও এগিয়ে, যা উঠে এসেছে আমার সংবাদের মাঠ জরিপ প্রতিবেদনে।
টিএইচ