আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যেদিয়ে অবশেষে ফরিদপুরে স্টপেজ পেয়েছে চন্দনা কমিউটার ট্রেন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রথমবারের মতো ফরিদপুর স্টেশনে থামে ট্রেনটি। এতে উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠেছে আন্দোলনকারীরাসহ ফরিদপুরবাসী।
ভোরে ফরিদপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষা নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে স্টেশনে থামে ট্রেনটি। ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে করতালির মাধ্যেমে স্বাগত জানান তারা। এরপর সেখানে ২ মিনিট অবস্থান করে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ট্রেনটির স্টপেজের দাবিতে আন্দোলনে থাকা মো. সেলিম মিয়া বলেন, এটি আমাদের দীর্ঘ দুই মাসের আন্দোলনের ফসল। ট্রেনটি ফরিদপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনো স্টপেজ ছিল না। ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, তরুণ সমাজসহ ফরিদপুরবাসীর একত্রিত সংগ্রামে তা বাস্তবায়িত হলো। আমরা রেলমন্ত্রী ও কর্তৃপক্ষকে ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সহকারী স্টেশন মাস্টার সুজাত আলী সরদার জানান, সপ্তাহে শুক্রবার ব্যতীত ৬দিন ট্রেনটি চলবে এবং ফরিদপুর স্টেশনে থামবে। এ বিষয়ে গত সোমবার রাতে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। সেই মোতাবেক আজ প্রথমবার এখানে থেমেছে।
ট্রেনটি প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে ভোর ৫ টা ৩৫ মিনিটে ফরিদপুর স্টেশনে এসে পৌঁছাবে এবং দুই মিনিট অবস্থান করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। তবে, ফরিদপুর স্টেশন থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে এবং ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ টাকা। এছাড়া ভাঙ্গায় গিয়ে নাম পরিবর্তন হওয়ার কারণে নতুন করে টিকিট কেটে নিতে হবে। একইভাবে ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬ টায় ছেড়ে আসবে এবং রাত ৮ টায় ফরিদপুরে পৌঁছাবে।
এর আগে গত ৪ মে মাদারীপুরের শিবচরে এক অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে ‘চন্দনা কমিউটার’ ও ভাঙ্গা-ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ‘ভাঙ্গা এক্সপ্রেস’ নামে কমিউটার ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
ট্রেনটি ফরিদপুর স্টেশন হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু কোনো স্টপেজ না থাকায় মানববন্ধন, ট্রেন অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি কাফনের কাপড় পরে তারা ট্রেনটির গতিরোধ করে। তাদের সেই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন ফরিদপুরের বিশিষ্টজনেরা।
টিএইচ